Skip to content

পোল্ট্রি ফার্ম ছাড়াও মুরগি পালন করা যায়, এই উপায় অবলম্বন করে আয় করুন লাখ টাকা

    img 20230316 195830

    হাঁস-মুরগি পালন গ্রামীণ এলাকায় একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মুরগি পালনের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন খামারিরা। বাড়ির উঠোন বা ফাঁকা জায়গা মুরগি পালনে খামারিদের ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করছে। মুরগি পালনের এই কৌশলটি কৃষকদের জন্য লাভজনক প্রমাণিত হচ্ছে। এই ব্যাবসায় বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই, আপনার বাড়ির সামনে ও পেছনে পাশাপাশি খালি জমি থাকলে সেখানে মুরগি পালন করা যায়। এমন জায়গায় হাঁস-মুরগি পালনের জন্য আপনাকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে না। এর পাশাপাশি হাঁস-মুরগি পালনে ব্যবহৃত শ্রমের জন্যও খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না।

    img 20230316 200225

    বাড়ির অবশিষ্ট বা ফাঁকা জায়গায় আপনি কাদাকনাথ, গ্রামপ্রিয়া, স্বরনাথ, কেরি শ্যামা, শ্রীনিধি, বনরাজা এবং কারির মতো মুরগি পালন করতে পারেন। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার এই মুরগি পালনে বিভিন্ন ধরনের ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এছাড়া ব্যাংক থেকেও ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। মুরগির রক্ষণাবেক্ষণে তেমন খরচ হয় না, বাড়ির উঠোনে লালন-পালন করা মুরগির জন্য খাবারের খরচও খুব বেশি করতে হয় না।

    খোলা জায়গায় পালনের জন্য খাদ্যের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে যায়, কারণ তারা অবাধে ঘুরে ঘুরে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে। তারা খাদ্য হিসেবে ফসলের অবশিষ্টাংশ খায়। এই মুরগিগুলি ফসলের পোকামাকড়ও খেয়ে থাকে। এইভাবে, তারা কেবল পুষ্টিই পায় না, তারা ফসলকে ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করে। যদি মুরগিকে আলাদা ভাবে খাওয়াতে হয়, তাহলে প্রতিদিন একটি মুরগিকে ৫০-৭০ গ্রাম দানা দিলেই হয়ে যায়।

    img 20230316 200117

    বাড়িতে ছেড়ে দেওয়া মুরগি প্রস্তুত হতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। দেশি মুরগি ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। একই সঙ্গে উন্নত জাতের সব মুরগির বাচ্চা ৪-৫ মাসের মধ্যে দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের হয়ে যায়। এছাড়া, যেখানে ব্রয়লার বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়, সেখানে অন্য এই সব জাতের মুরগি বিক্রি হয় কমপক্ষে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। বিশেষ করে কড়কনাথ মুরগি পালন করলে প্রতি কেজির দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।