যাত্রা শুরু ৯০-র দশকের পার্ক চকোলেট এবং লিরিলের বিজ্ঞাপনে। এই কারণে আলোচনার শীর্ষে এসেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা (Preity Zinta)। এরপর ‘দিল সে’, ‘সোলজার’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করতে শুরু করেন অভিনেত্রী। তবে ২০০০ সাল নাগাদ নিজের ‘গুডি গুডি’ ইমেজের জন্য সকলের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন প্রীতি।
এরপর নিজের ইমেজ থেকে বেরিয়ে ‘কেয়া কেহনা’ চলচ্চিত্রে একজন কুমারী মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে আবারও নিজের জায়গা ফিরে পান এই অভিনেত্রী। আর এই চলচ্চিত্রই তাঁর জীবনে একটি অন্য মোড় এনে দেয়। তবে এরপর ২০০০ সালেই ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও, তা নিয়ে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল শাহরুখ, রানী মুখার্জী এবং প্রীতি জিন্টা অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি বছর শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে। কিন্তু বিশেষ কারণে চলচ্চিত্র মুক্তির সময়ে পরিবর্তন করে এগিয়ে এনে মার্চে তা রিলিজ করা হয়। কারণ, এই চলচ্চিত্রের পরিবেশক ভারত শাহ, যিনি একজন বিখ্যাত হীরা ব্যবসায়ীও ছিলেন, এবং প্রযোজক নাজিম রিজভিসহ আন্ডারওয়ার্ল্ডের অন্যান্য ব্যক্তিত্ব, নেক্সাসের অভিযোগের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
এছাড়াও ডি কোম্পানির কিংপিন দাউদ ইব্রাহিম এবং তার আস্থাভাজন ছোট শাকিলের অনেক ছবিতে বিনিয়োগের বিষয়টিও বেশ আলোচিত হয়েছিল। এরই মধ্যে আবার শাহরুখ খান, রানী মুখার্জি এবং প্রীতি জিন্টার মত তারকারা আন্ডারওয়ার্ল্ড অপারেটরদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির হুমকি কল এবং চিঠি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি তাঁদের এই আবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার পর যখন বিষয়টি আদালতে ওঠে তখন দেখা যায় এক অন্য রূপ।
পুলিশের কাছে অনেকে অভিযোগ জানাতে গেলেও, শেষমেশ সেখানে টিকে ছিলেন শুধুমাত্র প্রীতি জিন্টা। প্রীতি সেইসময় তিনি ভারত শাহ এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের অন্যান্য লোকদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় ভারত শাহ দোষী প্রমাণিত হয় এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডও ধীরে ধীরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। এই ঘটনার জন্য প্রীতি প্রশংসিত হলেও, ধীরে ধীরে তাঁর হাত থেকে কাজ চলে যেতে থাকে। ২০০৬ সালের পর সেভাবে আর কোন কাজ আসেনি তার হাতে।