দীপাবলি’র উৎসবের মরশুমে মূল্যস্ফীতির আরেক ধাক্কা খেয়েছে সাধারণ মানুষ। দুধের দাম বাড়িয়েছে “আমুল ডেইরি” (Amul Dairy)। শনিবার দুধের দাম লিটারে ২ টাকা বাড়িয়েছে আমুল। ফুল ক্রিম দুধের দাম লিটার প্রতি ৬১ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৬৩ টাকা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ‘থ্যালিনোমিক্স’ নষ্ট হতে পারে। ইতিমধ্যে দেশে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার সাত (৭) শতাংশের ওপরে রয়েছে।
আমুলের দুধের এই মূল্য বৃদ্ধি হঠাৎ করেই হয়েছে। আজ সকালে মানুষ স্ফীত দামে দুধ ক্রয় করেছে। খবর অনুযায়ী, এর আগেও আগস্ট মাসে দুধের দাম বাড়িয়েছিল আমুল। তখন ক্রমবর্ধমান খরচের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। আমুল ডেইরির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরএস সোধি বলেন, ‘দেশের কিছু অংশে আমুল গোল্ড ও মহিষের দুধের দাম লিটার প্রতি ২ টাকা বেড়েছে।
এই বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে চর্বির দাম বৃদ্ধি’। তবে যতদূর জানা যায়, গুজরাটে এই বৃদ্ধি ঘটেনি। এই কারণ দেখিয়ে আবারও দাম বাড়ানো হয়েছে দুধের। আগস্টে দুধের দাম ২ টাকা বাড়িয়েছিল আমুল। তখন ডেইরির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আমুল দুধের দাম বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় জন্য। গত বছরের তুলনায় শুধু পশুখাদ্যের খরচ প্রায় ২০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসেও আমুল দুধের দাম বাড়িয়েছিল। তখনও দুধের দাম লিটারে দুই টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ডেইরি কর্তৃপক্ষ ক্রমবর্ধমান পরিবহন খরচকে দায়ী করেছিল। মার্চ মাস থেকে সম্প্রতি সময় পর্যন্ত আমুল দুধের দাম লিটার প্রতি ৬ টাকা বাড়িয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির হার ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্ধারিত লক্ষ্যের উপরে রয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগস্টে তা ছিল ৭ শতাংশ। আমরা যদি শুধু খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতির দিকে তাকাই, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, খাদ্য মূল্য সূচক অর্থাৎ খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৮.৬০ শতাংশ হয়েছে।