বলা হয়ে থাকে, যে দেশে যত বেশি শিক্ষিত মানুষ (Educated Person) সে দেশের উন্নয়ন তত দ্রুত হয়। কথাটা কিছুটা হলেও এটি সত্য। কিন্তু আপনি কী বলবেন, যখন আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলো বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত দেশের তালিকায় শীর্ষ স্থানগুলো দখল করতে পারেনা? রিপোর্ট বলছে, এই প্রথম বিশ্বের দেশ গুলো তালিকার শীর্ষে স্থান পায়নি। প্রকৃতপক্ষে, এই দেশগুলির আধুনিকতা এবং উন্নয়নকে গোটা বিশ্ব সেলাম করে। এই দেশগুলি তাদের পিছনে পুরো বিশ্বকে চালিত করেছে।
তবে সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, এই দুটি দেশ, এমনকি আজকের সুপার পাওয়ার চীন’ও এই তালিকার শীর্ষ ৫-এ জায়গা করে নিতে পারেনি। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (OECD) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কানাডা (Canada)। এখানকার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৯.৯৬ শতাংশ শিক্ষিত।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান, যেখানে জনসংখ্যার ৫২.৬৮ শতাংশ শিক্ষিত। তিন নম্বরে রয়েছে লুক্সেমবার্গ, যেখানে মোট জনসংখ্যার ৫১.৩১ শতাংশ শিক্ষিত। যেখানে দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে চার নম্বরে, সেখানে জনসংখ্যার ৫০.৭১ শতাংশ শিক্ষিত। পাঁচ নম্বরে ইসরায়েলের অবস্থান, এখানকার মোট জনসংখ্যার ৫০.১২ শতাংশ শিক্ষিত।
যদি আমরা আমেরিকা এবং ব্রিটেনের কথা বলি, তাহলে এই দুটি দেশ এই তালিকায় ৬ তম এবং ৮ তম স্থানে রয়েছে। উল্লেখ্য, আমেরিকায় মাত্র ৫০.০৬ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত। একই সঙ্গে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রতিবেদনে ব্রিটেনকে রাখা হয়েছে অষ্টম স্থানে। এখানে শিক্ষিত জনসংখ্যা প্রায় ৪৯.৩৯ শতাংশ। যদিও ভারতের অবস্থা এসব দেশের চেয়েও খারাপ। ভারতও এই তালিকায় সেরা দশের বাইরে।