Skip to content

Doller vs Rupes : বিশ্ব বাজারে পতন ভারতীয় টাকার! প্রভাব পড়তে চলেছে গ্যাস-পেট্রল ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে

    img 20221008 022827

    এই বছর ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে। ডলারের বিপরীতে শুধু রুপি নয় বিশ্বের মুদ্রাও দুর্বল হয়েছে। ডলারের বিপরীতে ইউরো ২০ বছরের সর্বনিম্নে। সর্বোপরি, কী কারণে সারা বিশ্বের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে এবং ডলার ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে? যখন থেকে আমার প্রজন্ম চেতনা ফিরে পেয়েছে, আমি সংবাদপত্রে এবং টিভিতে একই শিরোনাম পড়ি যে ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়ন।

    img 20221008 023132

    আজ আবার শিরোনামে রুপির রেকর্ড পতন, এক ডলারের দাম ৮২ টাকা ছাড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে, ডলারের বিপরীতে টাকা প্রথমে ৮২.১৯ টাকার স্তরে ছিল। যদিও, পরে তা ৮২.৩৩ টাকায় নেমে আসে। প্রায়শই ডলারের বিপরীতে রুপির মান দেশের প্রতিপত্তির সঙ্গে যুক্ত থাকে। স্বাধীনতার পর, ভারত সরকার রুপির মান শক্তিশালী রাখার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করেছিল।

    মুদ্রার মূল্য হ্রাসের ফলে সেসব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থারই উন্নতি হয়নি, সেসব দেশ বিশ্বের নির্বাচিত উন্নত অর্থনীতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যে কোনো দেশের মুদ্রার মূল্য অর্থনীতির মূলনীতি, চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে। বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে যে মুদ্রার চাহিদা বেশি, সেই মুদ্রার মান বেশি হবে। যে মুদ্রার চাহিদা কম সে মুদ্রার মান কম হবে। এটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। সরকার সরাসরি মুদ্রার হারকে প্রভাবিত করতে পারে না।

    মুদ্রার মান নির্ধারণের আরেকটি উপায়ও রয়েছে। যাকে বলা হয় পেগড এক্সচেঞ্জ রেট অর্থাৎ ফিক্সড এক্সচেঞ্জ রেট। যেখানে এক দেশের সরকার অন্য দেশের মুদ্রার তুলনায় তার দেশের মুদ্রার মূল্য নির্ধারণ করে। এটি সাধারণত ব্যবসা বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হয়। তবে এই ভাবে ভারতীয় টাকার পতন বা হ্রাসের কারণে জ্বালানি গ্যাস, পেট্রল ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধির অনেক প্রভাব পড়তে চলেছে জনজীবনে।