রেলওয়ে বাজেট 2023: সাধারণ বাজেট 2023-24 নিয়ে দেশের মানুষের অনেক আশা ছিল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ‘নির্মলা সীতারামনে’র বাজেট পেশ করার পরে, জনগণের মধ্যে সন্তুষ্টি স্পষ্টভাবে দেখা যায়। আয়কর সংক্রান্ত ঘোষণার পাশাপাশি রেলওয়ের জন্য সবচেয়ে বড় তহবিলের ঘোষণা জনগণকে অনেক মুগ্ধ করেছে। এই তহবিল বরাদ্দের পর রেলের চিত্র কতটা বদলে যাবে তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রেলের আসন্ন পরিকল্পনা নিয়ে বড়সড় তথ্য প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী “অশ্বিনী বৈষ্ণব”।
অশ্বিনী বৈষ্ণব বাজেট পেশ করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এবার রেলের জন্য রেকর্ড পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে’। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিজেপির কার্যকাল সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, ‘গত আট বছরে রেলে অনেক কাজ হয়েছে। বহু বছর ধরে, অবকাঠামো সংক্রান্ত ঘাটতি ছিল। এখন নতুন বাজেটে ঘোষিত তহবিল এটিকে আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে। এবং অমৃত ভারত স্টেশন কর্মসূচির অধীনে ১২৭৫টি রেলস্টেশন দ্রুত সম্পন্ন করা হবে’।
এর পরে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন যে, ‘এই ট্রেনগুলির উত্পাদন দ্রুত বাড়ানো হবে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জনপ্রিয়তা দেশে খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা হচ্ছে’। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উৎপাদন সম্পর্কে তিনি বলেন যে, ‘এখন পর্যন্ত এটির উৎপাদন শুধুমাত্র ICF চেন্নাইয়ে করা হত। তবে আজকের বাজেটের পর এটি সোনিপত, লাতুর, রায়বেরেলিতে’ও তৈরি হবে’।
অশ্বিনী বৈষ্ণব এও বলেছেন যে, বন্দে মেট্রো আঞ্চলিক এলাকার জন্য ডিজাইন করা হচ্ছে। এই বছরের মাঝামাঝি নাগাদ, বন্দে মেট্রো ট্রেনের সম্পূর্ণ ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হবে। এছাড়া দূষণ রুখতে হাইড্রোজেন ট্রেন তৈরি করা হচ্ছে। এই কাজটিও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে’। বিশেষ বিষয় হল, হাইড্রোজেন ট্রেনের ডিজাইন এবং তৈরি করা হবে ভারতেও। পৃথিবীতে মাত্র তিনটি দেশে হাইড্রোজেন ট্রেন চলছে। ভারত হবে চতুর্থ দেশ।
রিপোর্ট বলছে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রেলওয়ের জন্য ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন, যা ২০১৩-১৪ সালের তুলনায় নয় গুণ বেশি। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ‘রেলওয়ের জন্য ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকার মূলধন প্রদান করা হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যয়, ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে করা ব্যয়ের প্রায় নয় গুণ। রেলওয়েতে এখনো পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ বরাদ্দ’।