অনেক দূর পড়াশুনা করে অনেকেই এখন বেকার বসে রয়েছেন। চাকরির অভাবে অনেকেই তাই এখন বিভিন্ন রকম ব্যবসা শুরু করছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে চায়ের দোকান দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অনেকের মধ্যেই। যার ফলে অনেক নতুন নতুন চাওয়ালা জনপ্রিয় হচ্ছে বাজারে।
যাদের মধ্যে অনেক দোকানের নাম দেখা গিয়েছে এমবিএ চাওয়ালা। আবার কখনও স্নাতক চাওয়ালি। এসবের মধ্যে আবার সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়েছে বিহারের মুজাফফরপুর জেলার এক চায়ের দোকান। যেখানে চায়ের দোকানটি কোন দোকান নয়, রূপ দেওয়া হয়েছে কারাগারের আদলে। আর এই চায়ের দোকানই বর্তমান সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
বিহারের মুজাফফরপুর জেলার বাসিন্দা এমবিএ ডিগ্রিধারী বিট্টু কুমার এই অভিনব চায়ের দোকানটি দিয়েছেন। যেখানে দোকানটির চেহারা ঠিক দোকানের মত নয়, কারাগারের মত। যাতে নিজের চায়ের দোকানকে আলাদা করে চেনা যায়, সেজন্য নিজের দোকানকে বেশ আকর্ষণীয় করে তোলেন বিট্টু কুমার। আর এই দোকানের নাম রাখা হয়েছে ‘কায়দি চাইওয়ালা’ (kaidi chai wala)।
এই নতুন দোকান তৈরি হওয়ার পরে, ওই এলাকার মানুষজন অর্থাৎ মুজফফরপুরের (muzaffarpur) মানুষ জেলের নাম শুনলে আর আতঙ্কিত হচ্ছেন না। কারণ, ওই এলাকার জেল এখন মানুষের কাছে চায়ের দোকান। আর এই জেলের মধ্যে বসেই মানুষজন চা পান করছেন। বিট্টুর এই দোকানটির ধারণা স্থানীয় লোকেদেরও বেশ পছন্দ হয়েছে।
নিজের এই দোকানের বিষয়ে বিট্টু বলেন, এমবিএ করার পর সেভাবে কোন ভালো চাকরি পাচ্ছিলেন না তিনি। আর সেই কারণেই ভিন্ন কিছু করার প্রচেষ্টা থেকেই এই চায়ের দোকান দেন তিনি। সেইসঙ্গে নিজের দোকানকে একটা অভিনব রূপ দেন বিট্টু। আর সেখানেই চা পান করতে যান বহু মানুষ।
এই দোকানে কারাগারের আকারেই ঘর তৈরি করে সেখানে গ্রাহকদের সেখানে চা পরিবেশন করা হয়। এই দোকানে সাধারণ এবং মসলা চা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চা পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে অভিনব এই চায়ের দোকানে প্রচুর গ্রাহকও আসছেন।