২০২২ সালে আসা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir files) ছবিটি অনেক শিরোনাম করেছিল। ছবিটি প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিল এবং ছবিটি বিতর্কেরও একটি অংশ ছিল। এবার ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) ছবির ক্ষেত্রেও তেমনই কিছু ঘটছে। সম্প্রতি এই ছবিটি ব্যাপক ভাবে শিরোনামে। দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) পরিচালনা করেছেন সুদীপ্ত সেন।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি নিয়েও চলছে তুমুল বিতর্কে। কিন্তু বিতর্ক সত্ত্বেও, ছবিটি বক্স অফিসে তার পতাকা উত্তোলনে সক্ষম হয়েছে। ছবিটি ভালো আয়ও করে চলেছে। ছবিটি নিয়ে মানুষের মধ্যে চলছে নানা কথা। মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ ছবিটির সমর্থনে আবার কেউ বিপক্ষে।
এখন হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতও ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে মুখ খুললেন। নির্ভীক অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত এবার সোচ্চার হয়েছেন চলচ্চিত্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, কঙ্গনা রানাউত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন যেখানে তাকে এই ছবিটি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল।
কঙ্গনাকে যখন সুদীপ্ত সেনের ছবিটি নিয়ে তার মতামত জানাতে চাওয়া হয়েছিল, তখন অভিনেত্রী উত্তর দেন, “দেখুন, আমি ছবিটি দেখিনি, তবে ছবিটি নিষিদ্ধ করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে, ছবিটি নিষিদ্ধ করা যাবে না। আমি অনুমান করি যে, এই মুভিতে ISIS ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে কারও খারাপ লাগে না, তাই না”? বলিউডের রানী আরও বলেন, দেশের সবচেয়ে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান যদি এভাবে কথা বলে, তাহলে তারা ঠিক।
Queen about the Kerala story movie 🍿❤️😍🙌#KanganaRanaut𓃵 #KanganaRanaut @KanganaTeam ❤️ pic.twitter.com/ig3tn4fpgq
— Kangana_fame (@VidhanSaini2) May 6, 2023
ISIS একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। শুধু আমিই তাদের সন্ত্রাসী বলছি তা নয়। আমাদের দেশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য দেশও তাদের একই কথা বলেছে। আপনি যদি মনে করেন যে এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, তাহলে এটা স্পষ্ট যে আপনিও একজন সন্ত্রাসী।
কঙ্গনা রানাউত তার বক্তব্য অব্যাহত রেখে বলেন, “যদি আপনি মনে করেন যে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন সন্ত্রাসী নয়, যদিও এটি আইনগত এবং নৈতিকভাবে সন্ত্রাসী ঘোষণা করা হয়েছে, তাহলে আপনি চলচ্চিত্রের চেয়ে বড় সমস্যা”। অভিনেত্রীর একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে তিনি এই ছবিটি নিয়ে কথা বলছেন।
ছবির গল্প কেরালা থেকে নিখোঁজ ৩২ হাজার হিন্দু মেয়ের। অভিযোগ, ৩২০০০ হিন্দু মেয়েকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল এবং তারপরে সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এখন এই সত্য ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হওয়ায় কেউ কেউ তাতে আপত্তি করছেন। এই নিয়ে বিতর্ক থামার নামই নিচ্ছে না।