বয়স দাঁড়িয়েছে ৮৬-র ঘরে। আর এই বয়সেও সমানভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র (dharmendra)। একটা সময়ে বড় পর্দায় রাজ করেছেন তিনি। ‘শোলে’, ‘সীতা অর গীতা’, ‘খতরোকে খিলাড়ি’, ‘ফুল অর পাত্থর’, ‘ড্রিম গার্ল’ সহ একাধিক ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র।
হিন্দি বিনোদন দুনিয়ার অন্যতম একজন সফল অভিনেতা তিনি। নিজের অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে একটা শক্তিশালী জায়গা করে নিয়েছেন ধর্মেন্দ্র (dharmendra)। যে কারণে এই ৮৬ বছর বয়সে দাঁড়িয়েও, আজকের দিনে সিলভার স্ক্রিনে তাঁকে দেখে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়।
একটা সময় একের পর এক হিট সিনেমা দর্শকদের উপহার দেওয়ার পরও থেমে নেই এই অভিনেতা। ৮৬ বছর বয়সে দাঁড়িয়েও কাজ করে চলেছেন সমানভাবে। অনেক সময় দেখা যায়, সেলিব্রিটিরা সর্বদা লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের মধ্যে থাকতে থাকতে, তাঁরা অবসর নিয়ে থাকতে পারেন না। আবারও ঠিক ফিরে আসেন দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে।
তবে এবিষয়ে ছেলে ববি দেওল বলেন, ‘ধর্মেন্দ্র একটা সময় ভাবতেন, তিনি ৭০ বছরের পর আর কাজ করতে পারবেন না। বয়সের ভারে হয়ত কাজ ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু এখন ঠিক তার উলটোটাই দেখা যাচ্ছে। এই বয়সে দাঁড়িয়েও দিব্যি দাপিয়ে বেরাচ্ছেন তিনি। এমনকি জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কাজ করে যেতে চান তিনি’।
জানিয়ে রাখি, একটা সময় পিতা পুত্রের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। আর সেই সময় বাবা ছেলের মধ্যে মধ্যস্থতা করিয়েছিলেন আর এক বলি অভিনেতা সলমন খান। যার পরবর্তীতে ববি দেওল এবং ধর্মেন্দ্রর মধ্যেকার সম্পর্ক আবার আগের মতন হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, নিজের ফার্ম হাউসে থাকলেও গাছের পরিচর্যা থেকে পাখি শিকার, যখন তখন বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। ফার্ম হাউসের মধ্যেই লাগিয়েছেন নানারকম ফুল, ফল এবং শাকসবজির গাছ। আবার মুড হলে বন্দুক হাতে নিয়ে পাখি শিকার করতেও বেরিয়ে পড়েন এই অভিনেতা।