পৃথিবীর প্রায় ৭১ শতাংশ জল, বাকিটা স্থল৷ সমুদ্র থেকে অনেক দূরে, এখন পর্যন্ত মানুষ স্থলভাগের অনেক জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। যাইহোক, এখন মানুষ অনেক উন্নত হয়ে গেছে, এমন পরিস্থিতিতে এমন অনেক জায়গা আবিষ্কৃত হচ্ছে, যেখানে এখন পর্যন্ত কেউ পৌঁছাতে পারেনি। এই কারণে সেই সব জায়গায় লুকিয়ে থাকা রহস্যও বেরিয়ে আসছে। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী, চীনে পাওয়া গেছে ‘অন্য বিশ্ব’।
ভারতের প্রতিবেশী দেশ ‘চীন’ এর জঙ্গলে একটি বিশাল গর্তের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা পুরোপুরি গাছে ঢাকা ছিল। এখন পর্যন্ত অনেকে একে অন্য জগৎ হিসেবে বিবেচনা করছিলেন। বিশেষ ব্যাপার হল সূর্যের আলোও এখানে কখনো পৌঁছায়নি। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি একটি দল তাতে ফিরে এসেছে। সেই সঙ্গে নিজের ভেতরে থাকা গোপন কথাও সবার সামনে তুলে ধরেন।
চীনা মিডিয়ার মতে, এই বিশাল গর্তটি প্রায় ৬৩০ ফুট, যেটি লে কাউন্টির জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। স্থানীয় লোকজন একে ‘শেনয়িং তিয়ানচেং’ বলে। একই সময়ে, এটিকে অন্য বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করে। তাদের বিশ্বাস এই গর্ত অন্তহীন। তবে কেউ একজন এই সুড়ঙ্গ ঘুরে বাইরে বেরিয়ে এলে সব রহস্য জানা যাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ ই মে ‘চেন লিক্সিন’ এই গর্তের ভেতরে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে তার দলও উপস্থিত ছিল।
জানা যাচ্ছে,এই সুড়ঙ্গ-এর প্রস্থ ৪৯০ ফুট, এবং দলটি এর ভিতরে যাওয়ার জন্য তিনটি ভিন্ন পথ পেয়েছে। গবেষণার জন্য তিনি এর ভিতরে প্রচুর ছবিও তুলেছেন। তবে তারা এতে সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পায়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে গর্তের ভিতরে ১৩০ ফুট লম্বা গাছও রয়েছে, যা এটির দিকে যাওয়ার পথের দিকে ঝুঁকে রয়েছে, যার কারণে সূর্যের আলো ভিতরে পৌঁছায় না।
এই এলাকাটিতে একই ধরনের গর্তে পূর্ণ, এখন পর্যন্ত মোট ৩০ টি সিঙ্কহোল অর্থাৎ বিশাল গর্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। দলটি মনে করছে যে সেখানে কিছু নতুন প্রজাতির গাছ রয়েছে, যার সম্পর্কে মানুষ জানে না। যদিও এই বিশাল গর্তগুলি কীভাবে তৈরি হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে হয়তো জলের প্রবাহের কারণে কোন পাহাড় অবশ্যই ভিতরে তলিয়ে গেছে, তারপরে এই জায়গাটি গর্তে পরিণত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।