Skip to content

দীঘার সমুদ্রে ধরা পড়ল ৫৫ কেজির মাছ, দানবাকৃতি মাছ দেখতে উপছে পরা ভিড় জমল মোহনায়

    img 20220630 133421

    দীঘার (digha) সমুদ্রে ধরা পড়ল ৫৫ কেজির মস্ত এক ভোলা (Bhola) প্রজাতির মাছ। যা দেখতে ভিড় উপছে পড়ে ছিল দীঘা মোহনা। বিশালাকার সেই মাছকে দেখার জন্য লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ সামুদ্রিক মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নৈনানের বাসিন্দা শিবাজী কবির নিয়ে আসা এই মাছটি ১৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

    জানা যায়, সমুদ্রে মাছ ধরার চলতি মরশুম শুরু হয়েছে গত ১৫ ই জুন থেকে। আর তাঁরই মধ্যে এই বিশালাকার মাছ ধরা পড়ল দীঘার (digha) সমুদ্রে। তবে কিছুদিন আগেই প্রায় ৩০ কেজি ওজনের একটি পুরুষ তেলিয়া ভোলা উঠেছিল দীঘার সমুদ্রে জাল ফেলে। আর সেই প্রথম মাছটির দাম উঠেছিল ৯ লক্ষ টাকা। আর এবারে ৫৫ কেজি ওজনের এই বিশালাকার মাছ দেখতে পর্যটকদের ভিড় জমেছিল মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে।

    img 20220630 133438

    মৎস নিলাম কেন্দ্র সূত্রে খবর, শংকর প্রজাতির এই তেলিয়া ভোলা মাছটির প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে নিলাম পর্ব চলার পর ২৬ হাজার টাকা প্রতি কিলো দরে মোট ১৩ লক্ষ টাকায় মাছটি বিক্রি হয়। আর এই মাছটি কিনে নেয় এসএফটি সংস্থা। নিলামের নিয়মানুসারে, মোট ওজনের ৫ শতাংশ এবং ডিমের দরুণ ৫ কেজি বাদইদেওয়ার পর মাছটির ওজন দাঁড়ায় ৫০ কেজি।

    দীঘা (digha) ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কার্যকর্তা ও স্থানীয় আড়তদার হলেন নবকুমার পয়ড়্যা। তিনি জানান, ‘গত দুবছর ইলিশ সেভাবে না অঠায় এই ধরনের তেলিয়া ভোলা কিছুটা হলে বাজার ধরে রেখেছিল। এই ধরনের মাছ জালে ওঠায় দুবছরে কয়েক কোটির ব্যবসা করা গেছে। আর এই ধরনের শংকর প্রজাতির মাছটি বছরে সাধাণত ২ থেক ৪ টে ওঠে। তবে যার জালে ওঠে, তাঁর ভাগ্য খুলে যায়’। আরও এক আড়তদার কার্তিক বেরা জানান, এই মাছটি স্ত্রী হওয়ায় এর পেটে ডিম থাকার দরুণ পটকার পরিমাণ কিছুটা কম ছিল।

    img 20220630 133523

    জানিয়ে রাখি, এই ধরনের ভোলার পেটে থাকা অন্ত্র বা পটকা ওষুধের ক্যাপসুল তৈরির কাজে লাগে। সহজে দ্রবীভূত হওয়ায় বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি এই মাছ কিনে নেয়। তবে স্ত্রী মাছের তুলনায় পুরুষ মাছের পটকা দীর্ঘ হওয়ায় পুরুষ মাছের দামও বেশি হয়।