মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’র (NASA) “ওরিয়ন ক্যাপসুল” রবিবার ওয়াস্পে ফিরে এসেছে। এটি নিরাপদে মেক্সিকোর কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করানো হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নাসার এই মিশন সফল হয়েছে। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এই ক্যাপসুলটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট হিসেবে চাঁদে পাঠানো হয়েছিল।
এই যানে কোনো মানুষ ছিল না। তবে আগামী দিনে এর মাধ্যমে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানো হবে। বলা হচ্ছে ২০২৫ সাল বা ২০২৬ সালের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে। ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) এর সফলভাবে অবতরণ করার প্রয়োজন ছিল, যাতে এটি তার ওরিয়ন ফ্লাইটের দিকে যেতে পারে, যা ২০২৪ সালে সম্পন্ন হবে।
এই ফ্লাইটে চার নভোচারী যাবেন। এর ৫০ বছর আগে চাঁদে গিয়েছিলেন নভোচারীরা। খবর অনুযায়ী, ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে পৌঁছেছে ৪০,০০০ কিমি/ঘন্টা বা শব্দের গতির ৩২ গুন দ্রুত। তাই এর গতি কমাতে জলে পড়ার ঠিক আগে প্যারাসুট খুলে তা নিরাপদে নেমে আসে। মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলো আগে থেকেই প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থান করছিল। এছাড়া হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও ওরিয়নকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিলো।
অত্যন্ত নিরাপদ উপায়ে এই ক্যাপসুলটিকে সমুদ্র থেকে বের করে আনা হয়েছে। এখন এটি নাসার সদর দফতরে ফেরত পাঠানো হবে। ওরিয়ন ১৬ই নভেম্বর নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদে উড়েছিল এবং পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে প্রায় এক সপ্তাহ চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে কাটিয়েছিল। এই মিশন সফল হলে, নাসা ২০২৪ সালে চাঁদের চারপাশে নভোচারী পাঠানোর মিশনটি সম্পাদন করবে।